, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ , ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


ভারতের সঙ্গে কথা হবে চোখে চোখ রেখে, সম্পর্ক ন্যায্যতার ভিত্তিতে: হাসনাত

  • আপলোড সময় : ০৪-১২-২০২৪ ০৬:৫৭:৫৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৪-১২-২০২৪ ০৬:৫৭:৫৮ অপরাহ্ন
ভারতের সঙ্গে কথা হবে চোখে চোখ রেখে, সম্পর্ক ন্যায্যতার ভিত্তিতে: হাসনাত
এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ভারতের আগ্রাসনকে মেনে নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার বছরের পর বছর বাংলাদেশের শাসন করেছে। তারা দিল্লিকে কেবলা বানিয়ে ঢাকাকে শাসন করেছে। অথচ চারপাশের দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক নেই। তাই ভারতের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা হবে। আর সম্পর্ক হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে।

আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক জোট আয়োজিত ‘বিপ্লবোত্তর ছাত্র ঐক্য’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি ধর্মীয় কারণে হয়নি। ভারত বছরের পর বছর নির্যাতনমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়েছে। আর এসবের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সবসময় সহনীয়তা দেখিয়েছে। ভারতের শোষণ-শাসনের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মের লড়াই অব্যাহত থাকবে। ভারত আর কোনদিনও বাংলাদেশে আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে না।
 
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের দায়বদ্ধতা সবার ওপরে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে বসে কিংবা বিদেশ থেকে যতই ষড়যন্ত্র করা হোক তার কোনোটিকে সচল হতে দেওয়া যাবে না। আমরা যদি এবার ব্যর্থ হই বাংলাদেশ আর কখনোই ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছি। সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে এই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে মৌলিক বিষয়ে মতপার্থক্য খুবই স্বাভাবিক। এটিই হচ্ছে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। তবে বাংলাদেশের অখণ্ডটা, সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সবাই ইস্পাতের ন্যায় শক্ত ঐক্য বজায় রাখবে।

দেশের প্রশ্নে সমঝোতা হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৫ আগস্ট ছিল ছাত্রজনতার প্রাথমিক বিজয়। তবে আমাদের সামনে যে রাস্তা অনেক বেশি কণ্টকাকীর্ণ। এই রাস্তা পাড়ি দিতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের বিরুদ্ধে দেশি এবং বিদেশি ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। আবার নিজেদের মধ্যে ক্ষমতার কাঠামো নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। আবার কে ক্ষমতায় যাবে সে বিষয় নিয়েও আমাদের নিজেদের মধ্যে অনেক মতপার্থক্য রয়েছে। তবে আমরা অনুরোধ জানাব, আমাদের এই মতপার্থক্য যেন পরম সহিষ্ণুতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। এটি যেন আওয়ামী লীগের মতো আগ্রাসী মনোভাবে পরিণত না হয়। আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকবে, দ্বিমত প্রকাশ থাকবে। এটিই হবে রাজনীতির সৌন্দর্য। কারণ, দেশকে স্থিতিশীল রাখার দায়ভার সবার।
সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ: শায়েখ আহমাদুল্লাহ

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ: শায়েখ আহমাদুল্লাহ